TOP BANGLA WEBSITE

WHAT'S NEW?
Loading...

আপনার MX Player এ এবার AC 3 , DTS ফরম্যাটের সাউন্ড সাপোর্ট করিয়ে নিন

আলোচনা :Android এ অনেক ভিডিও প্লেয়ার
থাকলেও MX Player কে এখন পর্যন্ত কোন প্লেয়ার ই
ছাড়াতে পারেনি।সবচেয়ে জনপ্রিয়,সবচেয়
ে বেশি ব্যবহৃওত আর সত্যিকার অর্থেই বেস্ট
ভিডিও প্লেয়ার হচ্ছে MX Player.কিন্তু এর
সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এটিতে সরাসরি AC3,DTS সাউন্ড
সাপোর্ট করেনা যার কারণে এই ফরম্যাটের
ভিডিও বা মুভিতে সাউন্ড আসেনা।ছোট ধরনের
সমস্যা হলেও মুভিপ্রেমীদের কাছে বিরাট সমস্যা
যারা সাবটাইটেল দিয়ে মুভি দেখেন।তো আজ এর
সমাধান নিয়ে আসলাম,চলুন শুরু করি
*************************************
Click To
বিস্তারিত :এটা করতে Codec ব্যবহার করতে হবে
কিন্তু এই কোডেক ডিভাইস ভেদে বিভিন্ন হয়।এখন
আপনার ডিভাইসের MX Player এর জন্য কোন Codec টি
দরকার সেটা বের করতে MX Player অপেন করে
সেটিং এ যান তারপর Decoder অপশনে গিয়ে একদম
নিচে # Use ARMV7 Custom Codec বা অন্য কোডেক
লেখা থাকবে। এবার আপনার ডিভাইসে যে
কোডেক লাগবে সেটা নিচ থেকে ডাউনলোড করে
নিন,,
1. Arm v7-Neon:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12894&task=get
2. Arm v7-Tegra3: ht
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12896&task=get
3. Arm v7-Tegra2: h
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12895&task=get
4. Arm v6 VFP:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12899&task=get
5. Arm v6:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12898&task=get
6. Arm v5TE:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12897&task=get
7. x86: http://forum.xda-developers.com/devdb/project/
dl/?id=12900&task=get
8. MIPS:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12893&task=get
******************************
এবার MX Player >Setting>Decoder এ গিয়ে একদম
নিচে অই কোডেক লেখায় ক্লিক করুন,এবার আপনার
ডাউনলোড করা জিপ ফাইল টি সিলেক্ট করে
দিন,এতে কনফার্মেশন চাইবে Ok প্রেস করবেন
এতে MX player টি রিস্টার্ট হয়ে যাবে এবং AC3
সাউন্ড সাপোর্ট করবে। আর যদি না করে তাহলে
এটি নামান AIO Pack:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12892&task=get এবং আগের মতো
কাজ করুন আর দেখুন ম্যাজিক!!!
[end]

আপনার MX Player এ এবার AC 3 , DTS ফরম্যাটের সাউন্ড সাপোর্ট করিয়ে নিন

আলোচনা :Android এ অনেক ভিডিও প্লেয়ার
থাকলেও MX Player কে এখন পর্যন্ত কোন প্লেয়ার ই
ছাড়াতে পারেনি।সবচেয়ে জনপ্রিয়,সবচেয়
ে বেশি ব্যবহৃওত আর সত্যিকার অর্থেই বেস্ট
ভিডিও প্লেয়ার হচ্ছে MX Player.কিন্তু এর
সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এটিতে সরাসরি AC3,DTS সাউন্ড
সাপোর্ট করেনা যার কারণে এই ফরম্যাটের
ভিডিও বা মুভিতে সাউন্ড আসেনা।ছোট ধরনের
সমস্যা হলেও মুভিপ্রেমীদের কাছে বিরাট সমস্যা
যারা সাবটাইটেল দিয়ে মুভি দেখেন।তো আজ এর
সমাধান নিয়ে আসলাম,চলুন শুরু করি
*************************************
Click To
বিস্তারিত :এটা করতে Codec ব্যবহার করতে হবে
কিন্তু এই কোডেক ডিভাইস ভেদে বিভিন্ন হয়।এখন
আপনার ডিভাইসের MX Player এর জন্য কোন Codec টি
দরকার সেটা বের করতে MX Player অপেন করে
সেটিং এ যান তারপর Decoder অপশনে গিয়ে একদম
নিচে # Use ARMV7 Custom Codec বা অন্য কোডেক
লেখা থাকবে। এবার আপনার ডিভাইসে যে
কোডেক লাগবে সেটা নিচ থেকে ডাউনলোড করে
নিন,,
1. Arm v7-Neon:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12894&task=get
2. Arm v7-Tegra3: ht
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12896&task=get
3. Arm v7-Tegra2: h
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12895&task=get
4. Arm v6 VFP:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12899&task=get
5. Arm v6:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12898&task=get
6. Arm v5TE:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12897&task=get
7. x86: http://forum.xda-developers.com/devdb/project/
dl/?id=12900&task=get
8. MIPS:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12893&task=get
******************************
এবার MX Player >Setting>Decoder এ গিয়ে একদম
নিচে অই কোডেক লেখায় ক্লিক করুন,এবার আপনার
ডাউনলোড করা জিপ ফাইল টি সিলেক্ট করে
দিন,এতে কনফার্মেশন চাইবে Ok প্রেস করবেন
এতে MX player টি রিস্টার্ট হয়ে যাবে এবং AC3
সাউন্ড সাপোর্ট করবে। আর যদি না করে তাহলে
এটি নামান AIO Pack:
http://forum.xda-developers.com/devdb/project/dl/?id=12892&task=get এবং আগের মতো
কাজ করুন আর দেখুন ম্যাজিক!!!
[end]

মেমোরি কার্ড/পেন ড্রাইভ নষ্ট হয়ে গেছে|| ফেলে দেবার আগে একবার দেখে নিন আপনার কাজে লাগতে পারে।।

আসসালামু আলাইকুম…
সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয়ই ভালো আছেন। এটি আমার ৪ নং টিউন। ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনাদের দোয়া এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি আপনাদের ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। ইনশাল্লাহ।
অনেক কথা বললাম চলুন এবার টিউনে যাওয়া যাক।
আমার টিউনের শিরোনাম দেখে আপনার হয়ত এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে, আমি আপনাদের জন্য কি নিয়ে এসেছি।
আমরা সবাই কম বেশি মেমোরি কার্ড/পেন ড্রাইভ এর সাথে পরিচিত। আমরা এগুলোতে অনেক কিছু সংরক্ষন করে রাখি। কিন্তু দেখা যায়।
হঠাত করে এই মেমোরি কার্ড/পেন ড্রাইভ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন আমরা এটাকে ঠিক করা চেষ্টা না করে। ফেলে দেয়। আমিও অনেক মেমোরি ফেলে দিয়েছি।
কিন্তু আমি আজ আপনাদের এমন একটি সফটওয়্যার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো যেটা দিয়ে আপনার আপনাদের মেমোরি কার্ড/পেন ড্রাইভ গুলো ঠিক করতে পারবেন।
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।।
.star. Click To Download
ডাউনলোড হয়ে গেলে। ফাইল ডাউনলোড করার পর র‌্যার বা জিপ আকারে থাকবে। এটিকে আগে আনজিপ করে নিন।
এখন সফটওয়্যারটি সেটআপ দিন…
তারপর মেমোরি ঢুকান সফটওয়্যাটি Open করুn

জিপি ওয়াই-ফাই রাউটারে এখন সুপার স্পীড !

জিপি ৩ জি ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যাবহারকারীরা এখন সুপার স্পীডে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন ।
জিপি ওয়াই-ফাই রাউটারে সুপার স্পীড সম্পর্কে বিস্তারিত:
>> এই ক্যাম্পেইন-এ জিপি 3G WiFi রাউটার ২,৪৯৯ টাকায় এবং জিপি 3G মডেম ১,৪৪৯ টাকায় বিক্রি হবে। রাউটার এবং মোডেম এ সর্বোচ্চ 21Mbps পর্যন্ত স্পীড পাওয়া যাবে।
>> এই অফারে নতুন মডেম/রাউটার গ্রাহকগণকে (জিপি প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড ব্যবহারকারীগণ) 500MB ফ্রি ইন্টারনেট (৩০দিন মেয়াদে) পেতে DB লিখে 5050 নম্বরে পাঠিয়ে মডেম/রাউটার এবং জিপি সংযোগ ট্যাগ করতে হবে
>> এই অফারে নতুন মডেম/রাউটার ব্যবহারকারী 4GB ডাটা (2GB ডাবল বোনাস) মাত্র ৩৫০ টাকায় পাবেন, ক্যাম্পেইন চলাকালীন সর্বোচ্চ ৭ বার এই অফার নিতে পারবেন। গ্রাহকগণকে জিপি সংযোগ এবং মডেম/রাউটার ট্যাগ করে অফারটি নেয়ার জন্য DB2GB লিখে 5050 নম্বরে পাঠাতে হবে (৩০দিন মেয়াদে)
>> নতুন রাউটার/মডেম ব্যবহারকারীর একাধিকবার ট্যাগের ক্ষেত্রে প্রথম ট্যাগটি বিবেচনা করা হবে এবং সেই অনুযায়ী ক্যাম্পেইন সুবিধা পাবেন। প্রযোজ্য ডাটা বিতরনের সময় ব্যবহারকারীকে মডেম/রাউটার এবং সিম চালু রাখতে হবে
>> *567# নম্বরে ডায়াল করে গ্রাহকগণ ডাটা ব্যালেন্স জানতে পারবেন। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফি 0.01/10KB টাকা হারে সর্বোচ্চ 200MB পর্যন্ত প্রযোজ্য । ৩০ দিন পর ফ্রি এবং ডাবল বোনাস ডাটার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে
>> গ্রাহক ZTE/Huawei সেন্টারে নিয়ম অনুযায়ী বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন
>> সকল চার্জে ৩% সম্পূরক শুল্ক এবং সম্পূরক শুল্কসহ মূল্যের উপর ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য
>> ক্যাম্পেইনটি ২২ অক্টোবর ২০১৫-এ শেষ হবে

রাউটার হ্যক

আমাদের দেশে ওয়াইফাই আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে…..
ঘরে ঘরে ব্রডব্যন্ড আসার পাশাপাশি ব্যবহার হচ্ছে ওয়াইফাই রাউটার।।
যদি আপনি ওয়াইফাই রাউটার হ্যক করতে চান তবে অবশ্যই সেই ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্টেড থাকা লাগবে
সেজন্য আপনার ওয়াইফাই এর পাসোয়ার্ড লাগবে .. রাউটারের মালিক আপনার পরিচত হলে পাসওয়ার্ড তার কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারেন অপরিচিত হলে  হ্যক করে নিতে পারেন সহজ কিছু উপায়ে
আমাদের দেশের বেশীর ভাগ রাউটার ই Tp-Link company এর ।এবং রাউটার কিনে যখন কেউ সেটাপ করে সেটা ডেটা ক্যবল এর সাহায্য করে থাকে।
সুতরাং বেশীর ভাগ রাউটার মালিক দের ই এই ব্যপারে আইডিয়া থাকে না যে তার রাউটার ডাটা ক্যবল ছাড়া ও শুধু মাত্র মোবাইল ফোন দিয়েই সম্পূর্ন  নিয়ন্ত্রন করা যাবে। আমরা সেটার ই সুযোগ নিবো

রাউটার এর কন্ট্রোল নেয়ার পর আপনি যা করতে পারবেন-
  • ওয়াইফাই এর নাম পরিবর্তন করতে পারবেন
  • পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন
  • রাউটার নতুন ভাবে সেটাপ করে দিতে পারবেন
এক কথায় আপনি সম্পূর্ন রাউটার এর ক্ষমতা পেয়ে যাবেন

তাহলে শুরু করা যাক..
আশা করি আপনি যে রাউটার হ্যক করবেন সেটার ওয়াইফাই পাসোয়ার্ড সংগ্রহ করে কানেক্ট করে ফেলছেন..তাহলে পরবর্তী ধাপে আসি
আপনি এটা কম্পিউটার ছাড়া ও মোবাইলের ডিফল্ট ব্রাউজার থেকে ও করতে পারেন
এখন যদি আপনি এন্ড্রয়েড ব্যবহার কারী হোন তাহলে মোবাইলের ডিফল্ট ব্রাউজার /Uc browser  থেকে নিচের লিংকে যান ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্টেড থাকা অবস্থায়
=>http://192.168.0.1 যদি এটা কাজ না করে এখানে যান http://tplinklogin.net
http://tplinklogin.net শুধু মাত্র টিপি লিংক কোম্পানীর রাউটার এর জন্য কাজ করবে
এখন একটা পপ আপ আসবে যেটা রাউটার এর ইউজার নেম এবং পাসোয়ার্ড চাবে
সাধারনত রাউটার এর ডিফল্ট ইউজার নেম আর পাসোয়ার্ড নিচের মতো থাকে
User Name: admin
password   :admin
যদি কেউ এডভান্সড রাউটার ইউজার না হয় তারা এই ব্যপার টা জানেই না এবং পাসওয়ার্ড ও পরিবর্তন করে না .. সুতরাং আপনি এই ইউজার নেম আর পাসোয়ার্ড এর মাধ্যমেই রাউটার এর একসেস পেয়ে যেতে পারেন
সুতরাং এটা দিয়ে চেষ্টা করুন  username/password as admin/admin

এইবার শুধু ওয়াইফাই না…ওয়াইফাই রাউটার হ্যক করুন…

অন্যন্য উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও ওয়াইফাই ব্যবহার টা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে…
সেই সাথে চাহিদা বাড়ছে ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড এর :p

কত্তো বন্ধুত্ব যে অচিড়েই ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড এর জন্য ধ্বংস হচ্ছে সেটা রাউটার এর মালিক ই জানে :p
যাইহোক ওয়াইফাই হ্যক করার একেবারেই এডভান্সড লেভেল এর টুল থাকলেও আজকে ২ টা সিম্পল মেথড শেয়ার করবো যেগুলো আগের ট্রিকবিডি তে শেয়ার করেছিলাম :)

ওয়াইফাই হ্যক মেথড -১ঃ

এই মেথডে কাজ করার জন্য যে ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড আপনি বের করতে চান সে ওয়াইফাই কানেক্টেড আছে এমন একটি মোবাইল লাগবে।ধরুন আপনার বন্ধু সেই ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্টেড …বন্ধু থেকে ফোনটা নিন …
মোবাইল টি রুট করা থাকতে হবে। রুট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের পোষ্ট গুলা দেখে নিতে পারেন…

রুট কি?কেন/কীভাবে রুট করবেন?

ফোন রুট করা থাকলে নিচের সফটওয়্যার টা ডাওনলোড করুন…
Wifi Password Hack.apk
সফটওয়্যার টা ডাওনলোড করে চালু করলে রুট পারমিশন চাব… পারমিশন দিন…
তারপর সে ফোনে সেভ করা সকল পাসোয়ার্ড দেখতে পারবেন সেখান থেকে আপনি যে রাউটার এর পাসোয়ার্ড চাচ্ছেন সেটা বেছে নিন … 😉
password

ওয়াইফাই হ্যক মেথড -২ঃ

ধরুন যার পাসওয়ার্ড হ্যক করতেছেন সে মেথড টা জেনে গেলো… এবং সে একটু চালাকি করে পাসওয়ার্ড হিসেবে এবার অনেক গুলা স্পেস দিলো… এখন তো আপনার এপ পাসওয়ার্ড এর জায়গায় স্পেস দেখাবে… কীভাবে বের করবেন পাসওয়ার্ড??
উপরের সফটওয়্যার যে কাজ টা করে সেটা খুব সহজেই করতে পারবেন তবে এবার আপনি পাসওয়ার্ড পাবেন String আকারে…
প্রথমেই নিচের লিংক থেকে “Root Explorer” সফটওয়্যার টা নামান
Root Explorer.apk
এই সফটওয়্যার টা চালাতে ও ফোন রুট করা থাকা লাগবে… সফটওয়্যার টা ওপেন করে রুট একসেস দিন
তারপর /data/misc/wifi/  directory তে যান
Screenshot_2015-08-23-23-09-59
এবং “wpa_supplicant.conf” ফাইলটা Open as text দিয়ে ওপেন করুন
Screenshot_2015-08-23-23-10-07

ফোনে সেভ করা সকল পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন যেখানে ssid=”” এর ডাবল কোটেশন এর ভিতর ওয়াইফাই এর নাম এবং psk=”” এর ডাবল কোটেশন এর ভিতর পাসোয়ার্ড থাকবে 😉

এইভাবে মূলত একটু বুদ্ধি খাটাইলে পাসোয়ার্ড পেয়ে যাবেন…

ওয়াইফাই রাউটার মালিক দের জন্য নিরাপত্তাঃ
Router admin panel থেকে Security=>Firewall থেকে Firewall enable করুন …
MAC Address Filtering এ গিয়ে যেসব ম্যক থেকে ওয়াইফাই চালাতে পারবে সেগুলো সিলেক্ট করে দিন… পরে কেউ পাসওয়ার্ড হ্যক করে কানেক্ট করলেও আপনার ওয়াইফাই চালাতে পারবে না 😀
ভালো থাকুন এবং ট্রিকবিডি এর সাথেই থাকুন ।













:)

BEST CAPTION PHOTO, MY SHOOT BEST PHOTO

আমার তোলা কিছু অসাধারণ ছবি।

বেস্ট ক্যাপশন

বেস্ট ক্যাপশন

বেস্ট ক্যাপশন
SWAN SWAT NICE CAPTION

নদীর টানে বার বার ফিরে

 নদীর টানে   বার বার ফিরে আসি আমার প্রিয় সেই জায়গায়। .. সবসময় মনটা ফ্রেশ হয়ে যায়।
কেন আমাকে এত ভালোবাসো তুমি। জানিনা পাব কি না কিন্তু আমি তোমাকে কখন ও কষ্ট দিতে চাই না।  কিন্তু বাস্তবতা আমাদের এক জায়গায় চায় না। যদি পার ভুলে যাও আর আমাকে ক্ষমা। করব
নদীর টানে   বার বার ফিরে
ক্যাপশন অধরা বালক

ইডিয়টস জার্নি টু আম্রিকা!!! (শূন্য)




আম্রিকা!!! স্বপ্নের দেশ! দি ল্যান্ড অফ অপরচুনিটি!!! জীবন বাজি ধরে হইলেও অনেকে এইখানে আস্তে চায়। কয়েক বছর আগেও যদি কুনু আধ্যাত্মিক ফকির বাবা কইত যে বাবা তুই কিছুদিন পর আম্রিকা যাইয়া থাকবি তাইলে আমি হয়ত তারে মুগুর নিয়া তাড়া করতাম! মাগার লাইফ জিনিসটাই আলাদা! একশ ভাগ আনপ্রেডিক্টেবল! বলতে গেলে এই আনপ্রেডিক্টেবিলিটি টাই আমাদের বাচাইয়া রাখে। যাই হউক, আজকে আমি আম্রিকায়। যেইটা কস্মিনকালেও কুনুদিন কল্পনা করি নাই, সেইটা বাস্তব হইয়া গেছে। ভোজবাজির মতন কইরাই লাইফের সব এস্পেক্ট চেঞ্জ হইয়া গেছে। কিন্তু এই চেঞ্জটা খুব সহজ ছিল না আমার জন্য। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হইতে হইছে, অনেক কিছু শিখছি লাইফে। এই শিক্ষা চলতেই আছে, মরার আগ পর্যন্ত চলবে।

আম্রিকা একটা ইন্টারেস্টিং দেশ। লিমিটলেস ফ্রিডম আছে এইখানে। মজা করার হাজারো উপকরণ আছে, লাইফটাকে উপভোগ করার জন্য যা যা লাগে তার জন্য মোটামুটি সবকিছুই আছে। কিন্তু এরকম মজাদার একটা লাইফস্টাইলের মধ্যেও মাঝে মাঝে কাছে মনে হয় কি যেন একটা স্টিল মিসিং। অনেক খুঁজাখুঁজি করে একদিন মনে হইল এই মিসিং জিনিসটা হইল কোয়ালিটি ফ্রেন্ডের অভাব। এইখানে পথ চলতে যাইয়া অনেকের সাথে পরিচয় হয়। সবাই তথাকথিত ফ্রেন্ডও হয় (কিছু রেয়ার এক্সেপশন ছাড়া)। কিন্তু সবাই এত ব্যাস্ত থাকে যে একটু চোখের আড়াল হইলেই ফ্রেন্ডশিপ কালের অতল গহ্বরে হারায় যায়। আমি অনেকের সাথেই কর্মসূত্রে মিশছি, অনেক সময় স্পেন্ডও করছি কিন্তু আজকে তাদের অনেকেই নাই। অনেকেই যাওয়ার পথে। আমি কেউর দোষ দিচ্ছিনা, আসলে মোস্টলি এইখানকার সিস্টেমটাই এইরকম।

মাঝে মাঝেই মাথার মধ্যে কিছু ইন্টারেস্টিং চিন্তাভাবনা আসে, চিন্তা করি আমি কে? আমি এখানে কেন? আমার রুট কোথায়? পারপাস অফ লাইফ কিডা? ব্যাপারগুলা মাঝে মাঝেই ভাবায় কিন্তু কোন স্ট্রেইট এনসার পাওয়া যায় না। যখন দেশের কোথা চিন্তা করি তখন ইন্টারেস্টিং অনেক কিছুই স্মৃতির পাতায় ভাসে উঠে। কিন্তু মজার ব্যাপার হইল মেমরির অনেক কিছুই আমি আস্তে ভুলে যাচ্ছি। অন্যভাবে বললে ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যে আমি নিজেকেই/নিজের একটা পার্টকে আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছি। ব্যাপারটা বেশ আতঙ্কজনক। তাইলে কি করা যায়? ডায়েরির পাতায় নিজেকে ডকুমেন্ট করা ছাড়া কোন উপায় নাই দেখি!!! কিন্তু এইটার একটা সমস্যাও আছে। ডায়রির একটা সমস্যা হইল, এই লেখাটা নিজের জন্যই লেখা হয়, সো এইটাতে এমন কিছু লেখা থাকে যেইটা খুব পারসোনাল, সেনসিটিভ এবং কম্প্রোমাইজিংও হইতে পারে। এই সেনসিটিভ ব্যাপারগুলা মেমরি থেকে খুব সহজে ইরেজ হয় না, ইরেজ হয় কম সেনসিটিভ জিনিসগুলা। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হইল এই একান্ত ব্যাক্তিগত লেখাগুলা কারো হস্তগত হইলে লজাস্কর পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ব্ল্যাকমেইল পর্যন্ত অনেক কিছুই হইতে পারে এইখান থেকে। আমি নিজে দুইবার অনেক সময় ব্যয় করে লাইফের অনেক কিছু লিপিবদ্ধ করছিলাম। পরে যখন নিজেই নিজের লেখা পরতেছিলাম তখন বাধ্য হইয়া ডায়েরি দুইটারে নিজের হাতে পুড়াইয়া দেওয়া লাগছে!!!

এই সবগুলা সমস্যার সমাধান পাইছি ফেইসবুকের নোটে আর সামু ব্লগে। এইখানে লাইফের স্টোরিগুলা নিজের মত করেই লেখা যায়। ইভেন এইখানে নিজের সিক্রেটও স্পিল করা যায় বড় ধরনের কোন রিস্ক ছাড়াই। আর সবচেয়ে বড় ফায়দাটা হইল নিজেরে/ নিজের পাস্টরে ভালোভাবে প্রিজারভ করা যায় (নন-ফিকশন লিখলে)। আমার আম্রিকা আসার স্টোরিটা আমার কাছে খুব সিগনিফিকেন্ট একটা স্টোরি। যাতে ফিউচারে চাইলেই নিজের স্মৃতিচারণ নিজেই করতে পারি এই জন্য আম্রিকা আসার কাহিনীটা নিয়া এই সিরিজটা লিখতেছি। আর বোনাস হিসাবে কিছু ফেইসবুক লাইক/ব্লগের হিট তো থাকবেই...!!!



(চলপে.....)

quote icon ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।

একটি সোনা মিয়ার জীবন কাহিনী (চোরাচালান বা সাধুচালানও বলতে পারেন)। তবে কেউ আঠারো প্লাস হিসেবে নিয়েন না।

লিখেছেন ভিটামিন সি, ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
আমি সোনা মিয়া। আপনারা তো আমাকে চিনেনই। না চিনলেও সমস্যা নাই। নিচে আমার ছবি দিতেছি, দেখলেই চিনতে পারবেন। ছবিতে দেখে নিন।


আমার বাংলা নাম সোনা বা স্বর্ণ, ইংরেজী নাম Gold, ল্যাটিন নাম Aurum। আমাকে রসায়নবিদরা সংক্ষেপে ডাকে Au নামে। আমার পারমানবিক নাম্বার...


আমার ফেইসবুক

কেমন স্বামী মোশাররফ করিম: স্ত্রীর ভাষ্য...

গল্পের শুরুটা ২০০০ সালে। জুঁই ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী। রোজ সকালে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে কোচিংয়ে যান। কোচিংয়ে বাংলা পড়াতেন লোকটা। নাম মোশাররফ করিম। ঝাঁকড়া চুল। গম্ভীর। দুজনের কথাবার্তা খুব একটা হতো না। টুকটাক। আর দশজন টিচার, ছাত্রীর মতোই দুরত্ব ছিল তাদের। মোশাররফ করিমকে ‘ভাইয়া’ বলতেন জুঁই। জুঁই ছাত্রী হিসেবে খুব ভালো। ঘটনাক্রমে জুঁই সেই কোচিং সেন্টারেই শিক্ষকতা শুরু করলেন। এবার তিনি মোশাররফ করিমের কলিগ।

ক্লাসের ফাঁকে দুজনের টুকরো টুকরো কথা হতো। সেই কথাগুলো জমতে জমতে কথার পাহাড়ে রূপ নেয়। কথায় কথায় সময় ফুরিয়ে যেত, কিন্তু কথার রেলগাড়িটা যেন থামতোই না! কি বিপদ! এতো কথা আসে কোত্থেকে! কথা না বললে মোশাররফ করিম বুকের ডান পাশটা পোড়ায়। মনটা নিশপিশ করে।




তাহলে কি জুঁইয়ের প্রতি মোশাররফ করিম দুর্বল হয়ে পড়লেন? নাহ! এমনটা তো হওয়ার কথা ছিলো না। ছোটবেলা থেকেই মোশাররফ করিম প্রেম গায়ে মাখেননি। বরং হাত দশেক দুরে থেকেছেন। ছোটবেলায় ক্লাসের বন্ধুরা যেখানে প্রেম করে বেড়াতো, সেখানে তিনি বইয়ে মুখ গুঁজে থাকতেন।

সেই ছেলেটা কি আদৌ প্রেমে পড়তে পারে? প্রশ্নের উত্তরটা হ্ওয়ার কথা ছিলো ‘নাহ!’ কিন্তু প্রেম কি আর বাঁধ মানে! তার মন জুড়ে তখন জুঁই। তার নাকে জুঁই, চোখে জুঁই, আঙ্গুলের ভাঁজে ভাঁজে জুঁই! আনমনে ভাবতেন মেয়েটার কথা। খেতে ঘুমাতে, হাঁটতে। একসময় নিজেই আবিস্কার করলেন, মেয়েটিকে ভালোবাসেন। কিন্তু বলবেন কিভাবে? কথাটা বলা তো শরমের ব্যাপার! আকারে ইঙ্গিতে বোঝানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফলাফল শুন্য। মেয়েটা ঠিক বুঝেও বুঝে উঠে না। ভারি বিপদে পড়া গেলো।

নিজে প্রোপোজ করতেও পারছেন না। কারণ তার মতে, ‘সরসরি ভালোবাসার কথা বললে ব্যাপারটা পানির মতো লাগে। একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বললে ভালো। চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু ঠিকভাবে বুঝতে পারেনি’। শেষে বুদ্ধি আঁটলেন। বন্ধুকে দিয়ে প্রোপোজ করাবেন। পরদনিই প্রোপোজ করলেন। মেয়েটি হ্যাঁ, না কিছুই বলে না। চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। বারবার মনে ধাক্কা খায়, ‘যদি না বলে! মান সন্মান সব যাবে!’ শঙ্কা কেটে গেলো দিন দুয়েক পর। একটা পত্রিকার কাগজে জুঁই ‘ইয়েস’ লিখে মোশাররফকে দেন। তারপর শুরু হলো তাদের নতুন করে পথচলা।




কিন্তু জুঁই কি কখনো ভেবেছিলেন তাদের দুজনের সম্পর্ক হবে? ‘নাহ! আমি তো ভেবেছিলাম উনাকে আমাদের ফ্যামিলি মেম্বার বানাবো! আমি পরিবারে বিবাহযোগ্য পাত্রীও খোঁজাখুজি করেছিলাম। যার সঙ্গে ওর বিয়ে দিয়ে ফ্যামেলির সদস্য বাড়াবো। কিন্তু ও যে আমাকেই ভালোবাসে এটা ভাবতেই পারিনি। আর আমিই যে ওকে ভালোবেসে ফ্যামিলি মেম্বার বানাতে পারি, এটা মাথায় আসেনি।’-বললেন ‍জুঁই।

একটু সময় পেলেই দুজন ঘুরতে বেরুতেন। পছন্দের উপহার দিতেন। প্রথম উপহারটা দিয়েছিলেন মোশাররফ করিমই। আড়ং থেকে কেনা কান, গলার গহনার সেট দিয়েছিলেন। বছর চারেক চুটিয়ে দুজন প্রেম করার পর ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর বিয়ে করেন। গত এগারো বছর ধরে তারা হাতে হাত রেখে পথ চলছেন। এত বছরের পথ পরিক্রমায় তাদের জীবনে যুক্ত হয়েছে হাজারো অভিজ্ঞতা। স্বামীর হাসিটাই সবচেয়ে আকর্ষনীয় মনে হয় জুঁইয়ের কাছে। অনেকবার অনেক সাক্ষাতকারে বলেছেন ‘ও হাসলে অসাধারণ লাগে’। ছোটখাট মুদ্রাদোষও আছে মোশররফ করিমের। কি সেটা? জানালেন জুঁই, ‘ঘুমের সময় নাক ডাকে। অনেক সময় আধো ঘুমে নাক ডাকে। আমি আসলে বুঝি না ও সত্যি সত্যিই নাক ডাকে না অ্যাকটিং করছে!’




পর্দার বাইরের এই সফল জুটি ক্যামেরার সামনেও জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। জুটি বেধে প্রথম নাটকের অভিজ্ঞতাটাও দারুণ। বললেন জুঁই, ‘ওর সঙ্গে আমি বেশ কমফোর্টলি কাজ করেছিলাম। কিন্তু ও আমার অ্যাকটিং নিয়ে খুব চিন্তা করে। তার কথা আমি ভালো পারবো না কেনো। তখন আমার খুব অসহায় লেগেছিলো। কিন্তু এখন ঠিক হয়ে গেছে।’

প্রথমদিন মোশাররফ করিমের কেমন লেগেছিলো?

‘প্রথম শর্টের সময় মনে হলো এটা কি ঠিক হচ্ছে। খুব অস্বস্তি লাগছিলো। সে যে আমার কোআর্টিষ্ট মেনে নিতে অনেক সময় লেগে গেছে। এখন ঠিক হয়ে গেছে।’ মোশাররফ করিমের নাটক মানেই মজায় ভরপুর। পর্দার বাইরের মোশাররফও এমন মজার মানুষ? ‘বাসায় সে খুব গম্ভীর। মাঝে মাঝে একটু আধটু ফান করে। তবে অভিনয়ে যতোটা করে ততোটা নয়।’ বললেন জুঁই।

জনপ্রিয় এ অভিনেতার আজ জন্মদিন। প্রিয়দেশ'র পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন।

সূত্র: প্রিয়দেশনিউজ

আহসান কামরুল
২২ অগাস্ট ২০১৫ খ্রি.
ঢাকা।

খুব সহজেই দুটি কম্পিউটারের মধ্যে ডাটা শেয়ার করুন * প্রতি সেকেন্ডে 100 মেগাবাইট গতিতে *

২. ইথারনেট ক্যাবল কি?
৩. ক্রসওভার (CROSSOVER CABLE) ক্যাবল কি? কিভাবে তৈরী করা হয়?
৪.  কিভাবে আইপি এড্রেস সেট করতে হয়।
৫.  কিভাবে প্রিন্টার শেয়ার করতে হয়। অর্থাৎ একটি প্রিন্টার দিয়ে একের অধিক কম্পিউটার থেকে কিভাবে প্রিন্ট করা যায়।
৬.  কিভাবে পুরাতন কম্পিউটারের সকল ডাটা নতুন কম্পিউটারে শিফট করবেন।
৭.  কিভাবে পেনড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভ ছাড়াই শুধুমাত্র একটি ক্যাবল এর মাধ্যমে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে গান, ভিডিও সহ যেকোন ফাইল আদান-প্রদান করবেন।


আসসালামু আলাইকুম।  সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।
বৈশাখী শুভেচ্ছা

আজকের দিনটা আমাদের সবার জন্যই স্পেশাল। আমরা মোটামুটি সবাই এই দিনে অনেক কাজে ব্যস্ত থাকি। সবারই একটি ইচ্ছা থাকে যে, স্পেশাল দিনে স্পেশাল মানুষকে কিছু স্পেশাল গিফট দেয়া।
আমরা অনেকেই নতুন পিসি বা ল্যাপটপ কেনার পর পুরাতন হোম পিসি থেকে ছবি, গান, ভিডিও ইত্যাদি ফাইল সমুহ ট্রান্সফার করার জন্য সাধারনত পেন ড্রাইভ, পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ বা ডিভিডিতে বার্ন করে ডাটা ট্রান্সফার করে থাকি। এটি একটি খুবই সিম্পল কপি-পেষ্ট এর কাজ এবং আমি মনে করি না এর জন্য আমাদের এত সময়, পেন ড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ কেনার জন্য টাকা খরচ করার কোন দরকার আছে। একটি অতি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে খুবই সহজে এই দুই কম্পিউটার এর মধ্যে ডাটা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক গেমস ইত্যাদি শেয়ার করা যায়। আজকাল শেয়ার শব্দটি ইন্টারনেট জগতে সবারই খুব পরিচিত একটি শব্দ। তাহলে কেন নিজের কম্পিউটারে এই শেয়ার শব্দটি ব্যবহার করবো না????

নিচে আমি যে পদ্ধতি দেখাবো তার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই দুটি পিসির মধ্যে ডাটা শেয়ারিং করতে পারবেন। আমার দেখানো এই নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে আপনি ডাটা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট, গেমস ইত্যাদি শেয়ার করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে আপনার কোন হাব, সুইচ বা রাউটার এর প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র একটি ক্রসওভার ক্যাবল হলেই চলবে।
খেয়াল করুন, আপনি এর মাধ্যমে দুটি ডেক্সটপ/ল্যাপটপ বা একটি ল্যাপটপ ও একটি ডেক্সটপ এর মধ্যে ডাটা শেয়ারিং তৈরী করতে পারবেন যদিও তাতে একই অপারেটিং বা ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা থাকলেও, ফাইল শেয়ারিং করতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
স্কুল কলেজে যে রকম পড়ে এসেছেন যে, রসায়ন বিদ্যা বা পদার্থ বিদ্যা এর কোন পরীক্ষা করার সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দরকার হয়। তেমনি এই পোষ্টটি যদি কার্যকরণ করতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত যন্ত্রপাতি দরকার হবে।

১. দুইটি কম্পিউটার – হতে পারে তা ‍দুটি ডেক্সটপ / দুটি ল্যাপটপ / একটি ল্যাপটপ এবং একটি ডেক্সটপ ।
২. একটি ইথারনেট ক্রসওভার কেবল:  ক্রস ওভার ক্যাবল, দুটি পিসি কে হাব, সুইচ বা রাউটার ব্যতিত সরাসরি সংযোগ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। একটু খেয়াল করুন, সাধারনত ইথারনেট ক্যাবল গুলোর (যাকে আমরা ল্যান ক্যাবল ও বলে থাকি) দুটি মাথায়, তার গুলো একই ভাবে সাজানো থাকে অর্থাৎ তাদের দুটি মাথায়ই তারের রং গুলি মিল থাকে। নিচের ছবিতে দেখানো তারের নম্বর এর দিকে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।
eer

কিন্তু ক্রসওভার কেবলে সর্বমোট তার থাকবে চারটি যার প্রথম এবং তৃতীয় তার ( বা দিক হতে ডানদিকে গুনে ) এবং দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ নং তার ক্রস করা থাকে। অর্থাৎ এর এক মাথার প্রথম তার অপর মাথার তৃতীয় তারে সংযুক্তি হবে এবং অপর মাথার প্রথম তার এই মাথার তৃতীয় তারের সাথে সংযুক্তি হবে। ছবিটি খেয়াল করুন । নম্বর দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে দেখাতে চেষ্টা করেছি।
fdf


কোথায় পাবেন: যেকোন কম্পিউটার এর দোকানে গিয়ে বলবেন যে, আমাকে এক বা দু মিটার ক্রসওভার ইথারনেট ক্যাবল দিন বা বানিয়ে দিন যাতে আমি দুটি পিসির মধ্যে কোন সুইচ, হাব বা রাউটার বাদেই ডাটা শেয়ার করতে পারি। তারা সেই ক্যাবল বানিয়ে দিলে, আপনি হাতে নিয়ে তারের লেআউট দেখলেই বুঝতে পারবেন, যা আমি উপরে ছবি সহ বলেছি। দারুন তাই না ! :)
৩. নেটওয়ার্ক এ্যাডাপ্টার:  দুটি পিসিতেই নেটওয়ার্ক এ্যাডাপ্টার থাকতে হবে। বর্তমানের কম্পিউটার গুলোর মাদারবোর্ডে বিল্টইন নেটওয়ার্ক কার্ড থাকে। তাই যাদের আছে তাদের আর আলাদা নেটওয়ার্ক কার্ড কিনতে হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মাদারবোর্ডের সিডি বা নেটওয়ার্ক কার্ডের ড্রাইভার পিসিতে সঠিক ভাবে ইন্সটল করা থাকে।

কিভাবে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবেন:
এটি একটি বড় পোষ্ট। আমি বিস্তারিত ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। যাতে যেকেহ আমার পোষ্ট পড়ে খুব সহজেই বিষয়গুলো বুঝতে পারে। আপনার হতে যদি পড়ার মত প্রয়োজনীয় সময় না থাকে, তাহলে পরে, সময় নিয়ে পড়ুন।

আবার পোষ্ট এর বিষয়ে ফিরে আসি।  কিভাবে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবেন এটাই হলো আসল কাজ। শুনতে সহজ মনে হলেও দুটি পিসিতে এই সংযোগ তৈরী করা কিন্তু এত সহজ নয়। এর জন্য দুটি পিসিতেই আইপি কনফিগারেশনের একটা ব্যাপার আছে। তো চলুন দেখি নিচের পদ্ধতি অনুসরন করে, কিভাবে দুটি পিসি একে অপরের সাথে কথা বলাতে পারবো….

১. দুটি পিসির ইথারনেট পোর্টে ক্রসওভার ক্যাবল এর এক মাথা করে প্লাগইন করার মাধ্যমে সংযুক্ত করুন। ছবি দেখুন: 


প্রথম কম্পিউটার
প্রথম কম্পিউটার


দ্বিতীয় কম্পিউটার
দ্বিতীয় কম্পিউটার

২. এখন দুটি পিসির নেটওয়ার্ক সেটআপ করবো। এক্সপিতে Start > Connect to > Show all connection এ গিয়ে Local area connection এ মাউস এর রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ এ যান।
Lan setting
এখন Internet protocol (TCP/IP) তে ডাবল ক্লিক করুন। এর প্রোপার্টিজ আসবে। General ট্যাবের অন্তর্ভুক্ত Use the following IP address: এ ক্লিক করুন। তারপর IP address এর যায়গায়  192.168.1.1 ( 192.168.1.2 ‍দ্বিতীয় পিসির জন্য ) লিখুন। এখন Subnet mask এর ঘরে 25.255.255.0 ( দুটি পিসির জন্য একই ) বসান। এরপর Default gateway এর ঘরে অপর পিসির আইপি এড্রেস বসান। এর পর Ok প্রেস করুন।
উইন্ডোস সেভেনে আইপি এড্রেস পরিবর্তন করার জন্য ক্লিক করুন Start->Connect to->View network computers and devices->Network and sharing center. Select Manage Network Connections, press properties button under Local Area Connection. Select Internet Protocol version4(TCP/Ip4) and press properties button. এখন The internet Protocol (TCP/IP) এর প্রোপার্টিজ এর ডায়ালগ বক্স আসবে। সেখানে উপরের দেখানো এক্সপি এর নিয়মে আইপি এড্রেস লিখুন। ছবি দেখুন:
IP setting


একটু সহজ করে দেই । প্রথম পিসির আইপি এড্রেস নিম্নরুপ:
IP address: 192.168.1.1
Subnet mask: 255.255.255.0
Default gateway: 192.168.1.2 (এটা ২য় কম্পিউটারের IP Address)

দ্বিতীয় পিসির আইপি এ্যাড্রেস নিম্নরুপ:
IP address: 192.168.1.2
Subnet mask: 255.255.255.0
Default gateway: 192.168.1.1 (এটা প্রথম কম্পিউটারের IP Address)
setting ip


৩. এখন লোকাল নেটওয়ার্কের জন্য একটি ওয়ার্ক গ্রুপ তৈরী করবো। my computer এ মাউসের রাইট ক্লিক করুন। এখন properties সিলেক্ট করুন। দেখুন সেখানে Computer Name নামে একটি ট্যাব আছে। সেখান হতে কম্পিউটারের নাম ও ওয়ার্কগ্রুপের নাম পরিবর্তন করুন। ( নোট: কম্পিউটারের নাম দুই পিসির জন্য আলাদা আলাদা দিতে হবে কিন্তু ওয়ার্কগ্রুপের নাম দুটি পিসিতেই একদম একই দিতে হবে । )
Workgroup
৪. Ok প্রেস করুন এবং দুটি পিসিই রিস্টার্ট দিন।

৫. এখন আপনার হোম নেটওয়ার্ক, ট্রান্সফার ফাইল, প্রিন্টার শেয়ার এবং সর্বোপরি নেটওয়ার্ক গেমস খেলার জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত।এখন এই ক্রসওভার ক্যাবল দিয়ে দুই কম্পিউটার কানেক্ট করার দরুন, দেখবেন নেটওয়ার্কের জায়গায় অন্য কম্পিউটার দেখা যাচ্ছে । ছবি দেখুন:
laptop

একটা কাজ কিন্তু এখনও বাকি আছে। এখন মাত্র আপনার পিসি দুটি, ফাইল শেয়ারিং এর জন্য তৈরী। পরের কাজ গুলি মনযোগ দিয়ে করুন।
এখন মনযোগ দিন। ডাটা শেয়ারিং করার জন্য, অর্থাৎ যে কম্পিউটারের ডাটা, অপর পিসিতে শেয়ার করতে চান, সেই ফোল্ডার বা ড্রাইভে রাইট ক্লিক করুন। এরপর প্রোপার্টিজ এ গিয়ে শেয়ারিং সিলেক্ট করুন। তারপর If you understand the risk but still want to share the root of the drive, click here এ ক্লিক করুন ( যেকোন ড্রাইভের ক্ষেত্রে )। আর ফোল্ডারের ক্ষেত্রে শেয়ারিং সিলেক্ট করার পর Network sharing and security এর অধীনে Share this folder on the network এ ক্লিক করে চেক মার্ক দিন। Allow network users to change my files এও চেক মার্ক দিতে পারেন।
এর পর Apply এ ক্লিক করুন। এখানে একটি সতর্কবার্তা আসতে পারে যদি আপনার ড্রাইভ বা ফোল্ডারের নাম ১২ ক্যারেক্টারের বেশি হয়। তাই চেষ্টা করবেন যে ড্রাইভ বা ফোল্ডার শেয়ার করবেন তার নাম যেন ১২ ক্যারেক্টারের মধ্যেই হয়। এর পর ok প্রেস করুন। দেখবেন যে ড্রাইভ বা ফোল্ডারের আইকনের নিচে একটি হাত এর ছবি আসবে। তার মানে হলো এই ড্রাইভ বা ফোল্ডারের ডাটা শেয়ার করা সম্ভব। ছবি দেখুন:
Shared


আর উইন্ডোস সেভেনের জন্য : ধরুন আপনি Local disk( E )  ড্রাইভটি শেয়ার করবেন।
My computer থেকে Local disk( E ) এ রাইট ক্লিক করুন। এর পর পোপার্টিজ এ ক্লিক করুন। ছবি দেখুন:
click it

Security Tab এ ক্লিক করুন। এর পর Edit এ ক্লিক করুন। ছবি দেখুন:
Nasir pc

এরপর Add এ ক্লিক করুন। Enter the object names এ লিখুন Everyone,
এরপর ওকে করে বেড়িয়ে আসুন।
এখন পোপার্টিজ হতে Sharing tab এ যান।
click this


Advance Sharing এ ক্লিক করুন।
click ok

Share this folder সিলেক্ট করুন। তারপর ওকে করে, ক্লোজ করে বেড়িয়ে আসুন।

এবার অপর কম্পিউটারে গিয়ে My computer > Network এ যান। প্রথম পিসিতে প্রবেশ করলে আপনি Local Disk (E) দেখতে পারবেন। ছবি দেখুন:

browse

কিভাবে প্রিন্টার শেয়ার করবেন:  প্রিন্টার শেয়ার হলো আপনি এক পিসিতে বসে প্রিন্ট কমান্ড দিবেন, যা প্রিন্ট হবে একই নেটওয়ার্কের অন্তর্গত অপর পিসিতে লাগানো প্রিন্টার থেকে। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল, যে পিসিতে প্রিন্টার আছে তার সেই পিসি হতে প্রিন্টারে মাউজের রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ এ যান। Sharing নামে এটি ট্যাব পাবেন। তাতে ক্লিক করুন। সেখানে এরকম একটি লাইন পাবেন।
If you understand the security risks but want to share printers without running the wizard, click here.
এই লাইনে ক্লিক করুন এবং পরের ধাপগুলো পড়ে পড়ে প্রিন্টার শেয়ার করে দিন। এখানে Ok ও Next এ ক্লিক করতে করতে আপনি একটা যায়গায় Workgroup এর নাম বসানোর একটা ঘর পাবেন। সেখানে অবশ্যই একই নাম দিবেন (উপরের ৩ নং পয়েন্টটি খেয়াল করুন) ।এখানে বর্ণনাটা বিস্তারিত দিলাম না। কারন প্রিন্টার সবার নাও থাকতে পারে।

উপরের যে নিয়ম দিলাম তার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি দুটি পিসির মধ্যে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এবার আপনাদের একটা গোপন ট্রিকস জানাবো। অনেকেই আপনারা বিভিন্ন ভাবে এই ডাটা শেয়ারিং সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেক টিপস এর একটি গোপন ট্রিকস থাকে। এই পোষ্টেরও একটি গোপন ট্রিকস আছে। তা হল এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দুটি এক্সপি চালিত পিসির মধ্যে সহজেই ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবেন। কিন্তু যদি একটি এক্সপি এবং একটি উইন্ডোস সেভেন বা দুটি সেভেন চালিত পিসি ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে বারতি একটি কাজ করতে হবে। তা হল, আপনার উইন্ডোস সেভেন চালিত কম্পিউটারে ইউজার একাউন্টে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এর জন্য কম্পিউটারের কন্ট্রোল প্যানেলে যাবেন। তারপর User Account এ যাবেন। তারপর আপনি যে একাউন্টে এখন পিসিটি রান করছেন অর্থাৎ পিসিটি যে নাম দিয়েছেন তাতে ক্লিক করবেন। সেখানে Create a Password অপশনে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড দিবেন। মনে করেন আপনি একটি এক্সপি ও একটি সেভেন চালিত পিসিতে ক্রসওভার ক্যাবল এর মাধ্যমে ডাটা শেয়ার করেছেন। তাহলে সেভেন চালিত পিসিতে ইউজার একাউন্টে পাসওয়ার্ড দিবেন। এখন খেয়াল করুন, মনে করুন এক্সপি এ আইপি বসিয়েছেন 192.168.1.1 এবং সেভেন চালিত পিসিতে আইপি দিয়েছেন 192.168.1.2
এখন উইন্ডোস সেভেন চালিত পিসিতে Run এ গিয়ে লিখুন: 192.168.1.1 (যা এক্সপি চালিত পিসির আই পি) এরপর এন্টার দিন। ছবি দেখুন। এখানে একটি বিষয় খেয়ার করুন। আমি কিন্তু উল্টো স্লাশ দিয়ে আইপি এ্যাড্রেস লিখেছি। ভাল করে দেখুন
192

এই কাজটি করার পর আপনি ঐ উইন্ডোস সেভেন চালিত পিসি হতে এক্সপি চালিত পিসিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এখন এক্সপি চালিত পিসির যেসকল ড্রাইভ বা ফোল্ডার আপনি আগেই শেয়ার করেছেন তাতে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন, কপি বা কাট করে আপনার উইন্ডোস সেভেন চালিত পিসিতে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

একই পদ্ধতিতে, এক্সপি চালিত পিসির রান কমান্ডে লিখুন: 192.168.1.2 (যা উইন্ডোস সেভেন চালিত পিসির আই পি এড্রেস) এখন এক্সপি হতে সেভেন এর পিসিতে প্রবেশ এর সময় ইউজার একাউন্ট এর নাম এবং পাসওয়ার্ড চাইবে। সঠিক নাম ও পাসওয়ার্ড দিন। ওকে করার পর আপনি সেভেন অপারেটিং চালিত পিসিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এবং আগে থেকেই সেভেন চালিত পিসির যেসকল ড্রাইভ বা ফোল্ডার শেয়ার করে রেখেছিলেন তাতে প্রবেশ, কপি বা কাট করে আপনার এক্সপি চালিত পিসিতে নিয়ে আসতে পারবেন।
এই পাসওয়ার্ড এর ট্রিকস টাই এ পোষ্টের গোপন ট্রিকস। অনেকেই আপনারা ডাটা শেয়ারিং জেনে থাকতে পারেন। কিন্তু এই পাসওয়ার্ড না দেবার কারনে শেয়ারিং পুরোপুরি ভাবে করতে পারেন নাই। এবার নিশ্চয়ই ডাটা শেয়ারিং বা নেটওয়ার্ক বা প্রিন্টার শেয়ারিং ইত্যাদি করতে পারবেন। তাই না!!!!!!!! ওহ আরেকটি জিনিষ প্রিন্টার শেয়ার করতে চাইলে প্রথমে যে পিসির সাথে প্রিন্টার লাগানো আছে সেই পিসি হতে প্রিন্টার এর পোপার্টিজ এর গিয়ে প্রিন্টার শেয়ার করে দিবেন। তারপর যে পিসির সাথে পিন্টার এর সংযোগ নেই, সেই পিসির রান কমান্ডে গিয়ে অপর পিসির আইপি এ্যাড্রেস লিখবেন (অবশ্যই উপরের নিয়মে রান কমান্ডে আইপি এ্যাড্রেস লিখবেন) তারপর এন্টার দিন। এখন দেখবেন প্রিন্টার দেখা যাচ্ছে। এর পর প্রিন্টার এ মাউজের রাইট ক্লিক করুন। এবং Connect এর ক্লিক করুন। কোন ম্যাসেজ আসলে ওকে করুন। আপনার প্রিন্টার শেয়ার হয়ে গেল। এখন যেকোন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড খুলে, প্রিন্টারটি দেখিয়ে একটি প্রিন্ট দিয়েই দেখুন::::::::::
আমি যখনই পোষ্ট করি তখন মাথায় রাখি যে আমি কিছুই জানি না। সুতরাং আমি চেষ্টা করি, নিজে যে ভাবে শিখেছি, ঠিক সে রকম করে, বিস্তারিত ভাবে, সহজ করে লিখতে। যাতে একবার পড়লেই আজীবন মনে রাখা যায়। কেমন হলো জানাবেন। যদি কোন অসুবিধা হয়, তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। এই ডাটা শেয়ারিং বিষয়ে পিসি হেল্পলাইন বিডি’তে আগে যদি কোন লেখক ভাই, পোষ্ট করে থাকেন, তাহলে আমি আন্তরিক ভাবে দু:খিত। ধন্যবাদ কষ্ট করে পোষ্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভাল থাকবেন।

৩০০ মানুষের সামনেই নগ্ন হয়ে যা করলেন এশা!

esha-gupta-22a
নগ্নতা যেন বলিউডে এখন একটি স্টাইল পরিণত হয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এবার ৩০০ মানুষের সামনে নগ্ন হলেন বলিউড অভিনেত্রী এশা গুপ্তা।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় বিক্রম ভাট পরিচালিত ‘রাজ-৩’ ছবির শুটিং সেটে ৩০০ মানুষের সামনেই কাপড় খুলে নগ্ন হয়ে শট দেন।
এ দিকে আবার শোনা যাচ্ছে ছবির পরিচালক বিক্রম ভাট এশাকে বলেছিলেন শর্টটি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে সবকিছু করতে রাজি এশা তাই সে নিজ ইচ্ছাতেই বলতে গেলে শর্টটি দেন। এবং ঠিকই নগ্ন হয়ে শট শেষ করেন এশা।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে এশা জানিয়েছেন তার চরিত্রটি ছিলো সেক্সি গাউন পরে একটি পার্টিতে অংশ নেওয়া। আর সে পার্টিতে ভূতেরা তাকে হাউ মাউ করে তার শরীরের উপর হামলা করলে নিজের প্রাণ বাঁচাতে আর্তনাদ করার এক পর্যায়ে কাপড় খুলে দৌড়ে বেরিয়ে পড়া।
এশা আরও জানিয়েছেন, ‘এটা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত ছিলো কারণ ঐ দৃশ্যে অভিনয় করার সময় শুটিং স্পটে বানানো পার্টিতে প্রায় ৩০০ লোক ছিলো।’

এবার মোবাইল নাম্বার দিয়ে বের করুন আপনার বন্ধুর বর্তমান অবস্থান

চরম একটি Android Software।
www.hdfinewallpapers.com
এটি এমন একটি এপ যা দিয়ে আপনি আপনার বন্ধু/পরিবারের সদস্য ঠিক কোথায় আছে তা আপনি মোবাইল নাম্বার এর সাহায্যে ম্যাপের মধ্যে দেখতে পারবেন। তো আপনি তো বুঝতেই পারছেন যে এটা কি ধরণের এপ। তো ডাউনলোড করুন।
File Name:Phone Tracker–GPS Tracking.Apk
Download:Softwareটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে
আশা করি Softwareটি আপনাদের উপকারে আসবে।

প্যাটার্ন লক ভুলে গেলে খোলার উপায় Unlock Android Pattern Lock

প্যাটার্ন লক ভুলে গেলে খোলার উপায় Unlock Android Pattern Lock

June 9, 2014 by Alamgir Hossain Shemul

If you are owner of any Android device, then you would be well known about the different security features of it. Among all the different ways to password protect your Android phone, the popular one which comes with every Android device is the Lock Screen Pattern, Pin or Password. But what to do when you had forgotten the passwords or pin of your Android Lock Screen. Don’t worry there are many methods to recover or reset the Forgotten password.

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টফোনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্মার্টফোনে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, ফেসবুক, ইমেলসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। এগুলোর নিরাপত্তার জন্য আমরা ফোনে বিভিন্ন অ্যাপস ও ডিফল্ড সিকিউড সিস্টেম ব্যবহার করে থাকি। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্যাটার্ন লক। প্যাটার্ন লক, যা সহজে কেউ ভাঙতে পারে না। তবে এতে সমস্যাও রয়েছে। কয়েকবার ভুল প্যাটার্ন দিলে পুরোপুরি লক হয়ে যায় স্মার্টফোনটি। যা ঠিক করার জন্য ব্যবহারকারীকে গুন্তে হয় বেশ কিছু অর্থ। তবে প্যাটার্ন ভুলে গেলে বা ডিভাইস লক হয়ে গেলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই তা খোলা সম্ভব।

এক্ষেত্রে যদি আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোনে ইন্টারনেট (ডাটা বা ওয়াই ফাই) কানেকশন করা থাকে তাহলে সুবিধা হয়। ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে- প্রথমে প্যাটার্ন অপশনে কয়েকবার ভুল প্যাটার্ন দিন। এরপর একটি অপশন আসবে, ‘Forgot Pattern?’ এটাতে ট্যাপ করুণ। ট্যাপ করার পর আপনার ব্যবহৃত গুগল একাউন্ট অর্থাৎ জি-মেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড চাইবে। ঠিকঠিক মতো ইনপুট করুণ। সফলভাবে জি-মেইল আইডিতে লগইন করা শেষে আপনাকে নতুন প্যটার্ন লক দিতে বলা হবে। নতুন প্যাটার্ন একটিভ করুণ।

অনেক সময় ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকে না। তাই ই-মেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করা সম্ভব হয় না। তখন প্যাটার্ন লক খোলার একটাই উপায় থাকে ডিভাইসে ফ্যাক্টরি রিস্টোর করা।

প্রথমে ভলিউম আপ কি এবং হোম বাটন চেপে ধরুন।
একই সাথে পাওয়ার বাটন চেপে ফোনটি অন করুন। ফোন অন হলে বাটনগুলো ছেড়ে দিন।
এবার অ্যান্ড্রয়েড ‘রিকভারি মেনু’ আসবে। এখান থেকে Wipe data/ factory reset সিলেক্ট করুন। এক্ষেত্রে ভলিউম আপ ডাউন বাটনগুলো সিলেকশনের কাজ করবে।
এরপর ‘নো’ এবং ‘ইয়েস’ এর মধ্য থেকে ‘ইয়েস’ সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করার জন্যে পাওয়ার বাটন/হোম বাটন কাজ করতে পারে।
মনে রাখবেন factory reset দেয়ার পর আপনার ফোনের আগের সব ডাটা ডিলেট হয়ে যাবে।
‘factory reset’ সম্পন্ন হলে ফোন রি বুট হবে এবং প্যাটার্ন লক চলে যাবে।

তবে মনে রাখতে হবে বিভিন্ন ফোন কোম্পানির স্মার্টফোনের ‘রিকভারি মেনুতে’ যাওয়ার জন্যে উপরে বর্ণিত বাটনগুলো কাজ নাও হতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই জানা উচিত আপনার ফোনে কিভাবে রিকভারি মেনু আনতে হয়। এজন্য গুগোল বা ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন।

রোবট জন্ম দেবে রোবট


wvd1zfooঢাকা: রোবটের একটি আধুনিক সংস্করণ তৈরি করেছেন একদল বিজ্ঞানী। এই রোবট নতুন রোবট জন্ম দিতে পারবে। এছাড়া মানুষের সাহায্য ছাড়াই এটি তার নিজের দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা আরও বাড়াতে পারবে এবং নিজের চেষ্টাতেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে।
শুনতে সায়েন্স ফিকশন মনে হলেও বাস্তবে এমনই এক ‘মাদার রোবট’ তৈরি করা হয়েছে। ক্যামব্রিজ এবং জুরিখের একদল প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল হচ্ছে নতুন এই রোবটটি। সম্প্রতি ‘পিএলওস ওয়ান’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ থেকে এ খবর জানা গেছে।
প্রকৌশলীদের তৈরি এই নতুন রোবট ক্রমশ নিজেই নিজের বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে পারে। তবে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে যারা ধারণা করছেন যে এরকম রোবট একদিন মানুষকে পরাস্ত করে পৃথিবীর দখল নিয়ে নেবে, তাদের আশ্বস্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, কিভাবে মানুষের সাহায্য ছাড়াই রোবট তার চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এটিই হচ্ছে এই গবেষণা প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য।
বিজ্ঞানীদের তৈরি করা মাদার রোবট আপাতত যে শিশু রোবট তৈরি করছে তা আসলে প্লাস্টিকের কিছু কিউব ছাড়া আর কিছু নয়। এর ভেতরে আছে একটা মোটর। মাদার রোবট এই বেবি রোবট কতটা নড়াচড়া করে তা পর্যবেক্ষণ করে। এরপর সেই অনুযায়ী পরের প্রজন্মের রোবট তৈরি করে যা আগেরটির চেয়ে একধাপ উন্নত। এভাবে ধাপে ধাপে এপর্যন্ত দশ প্রজন্ম পর্যন্ত নতুন রোবট তৈরি করেছে মাদার রোবট। যাদের প্রত্যেকটি কর্মক্ষমতার দিক দিয়ে আগেরটিকে ছাড়িয়ে গেছে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর ফুমিয়া লিডা বলেছেন, জীববিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় রহস্য হচ্ছে কিভাবে বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে। এই গবেষণার একটা লক্ষ্য সেই রহস্য ভেদ করা। তিনি বলেন, ‘রোবট মূলত একই কাজ বার বার করতে পারে। কিন্তু তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারে না। কিন্তু আমরা যে রোবট তৈরি করতে চাই, তার থাকবে একই সঙ্গে উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা।’
উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি  বলেছেন,‘যেমন ধরুণ, আমাদের রোবট প্রথমে একটা কারখানায় তৈরি হওয়া গাড়ীর খুঁত খুঁজে বের করবে। তারপর নিজে নিজেই সেই ত্রুটি সারিয়ে তুলবে সে।’ উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনেও ব্যবহার করা যাবে এই রোবটকে।
লিডা আরো বলেছেন, ‘আমাদের এখন এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে আমরা সাইন্স ফিকশন ছবিগুলোতে দেখানো রোবট তৈরি করব কিনা। আমরা এখনো সে রকম রোবট তৈরি করতে পারিনা। কিন্তু আমরা চাইলে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ওইসব আধুনিক রোবট তৈরি করতে পারব।’ লিডা নিজেও কিন্তু কল্প কাহিনীতে দেখানো রোবট থেকেই অনুপ্রেরণা  খুঁজে পান।       

 ফেইসবুক            irfan

লাইন ফলোয়ার রোবট তৈরি (মাইক্রোকন্ট্রোলার ছাড়াই)


লাইন ফলোয়ার রোবট হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের রোবট যা একটি নির্দিষ্ট লাইন ফলো বা অনুসরণ করে চলে এবং কখনই সেই নির্দিষ্ট লাইনের বাইরে যায় না। লাইন ফলোয়ার রোবট দ্বারা অনুসরণকৃত লাইন সাদা মেঝের উপর কালো টেপ বা কালো মেঝের উপর সাদা টেপ দিয়ে করা যেতে পারে। লাইন ফলোয়ার রোবট বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় রোবট, বিশেষ করে যারা রোবটিক্সে আগ্রহী এবং রোবট নিয়ে কাজ করতে চায় তাদের 'লাইন ফলোয়ার রোবট' দিয়ে শুরু করাটাই ভাল।

আমি এখানে মাইক্রো-কন্ট্রোলার ছাড়া একটি লাইন ফলোয়ার রোবট তৈরির সম্পূর্ণ কৌশল বর্ণনা করব। যারা রোবটিক্সে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আমার পরামর্শ প্রথমে ইলেকট্রনিক্স ভিত্তিক কিছু রোবট তৈরি করতে (যেমনঃ লাইন ফলোইং রোবট, লাইট ফলোইং রোবট )। সার্কিট সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করা । ডেভেলপড এবং এডভান্স রোবট তৈরির জন্য অবশ্যই ইলেকট্রনিক্সের মৌলিক বিষয়গুলো ভালভাবে আয়ত্তে করা উচিত।

লাইন ফলোয়ার রোবট তৈরি অনেকটা সহজ, সাধারণত এর জনপ্রিয়তার এটি অন্যতম কারন। এছাড়া বিভিন্ন দেশে এই জাতীয় রোবট নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়ে থাকে।


মূলনীতিঃ

            লাইন ফলোয়ার রোবট এর মূলনীতি খুবই সাধারন, আর তা হচ্ছে এটি একটি লাইন ট্র্যাক অনুসরণ করে চলবে।

আর এই লাইন এবং এর আশেপাশের রঙ (সাদার উপর কালো অথবা কালর উপর সাদা) -এর পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য যেকোন লাইট সেনসিটিভ সেন্সর ব্যবহার করা যেতে পারে।

এখানে রোবট কিভাবে লাইন ট্র্যাক করবে এবং রোবট কখন কোন দিকে চলবে তার একটি ডায়াগ্রাম দেয়া হল।
     

                   ডায়াগ্রাম-১: লাইন ফলোয়ার রোবটের লাইন ট্র্যাকিং ন্যাভিগেশন ডায়াগ্রাম


তাহলে এখন এই ডায়াগ্রাম দেখে রোবটের মূলনীতিটা আগে বুঝে নেয়া যাক।

এই রোবটে দুটি লাইট সেনসিটিভ সেন্সর (LDR) ব্যবহার করা হয়েছে । ডায়াগ্রাম-১ এ সেন্সর দুটিকে নির্দেশ করা হয়েছে S1 এবং S2 দ্বারা। যদি আমাদের লাইন কালো হয়, তাহলে চলতে চলতে যখন রোবটের S1 সেন্সর কালো লাইন সেন্স করবে অর্থাৎ, কালো দাগের উপর আসবে তখন রোবট বামে চলবে। অনুরুপভাবে, যখন রোবটের S2 সেন্সর যখন কালো লাইন সেন্স করবে তখন ডানে চলবে। এইভাবেই রোবটটি লাইন অনুসরণ করবে এবং ডান-বাম করে লাইনে থাকা বজায় রাখবে । কিভাবে রোবটটি এই কাজ সম্পন্ন করবে আর এর সার্কিট কিভাবে কাজ করবে তার প্রতিটি ধাপ নিচে বর্ণনা করা হবে । 

এটাতো গেল লাইন ফলোইং রোবটের মুলনীতি এখন দেখা যাক এই নীতির উপর ভিত্তি করে কিভাবে রোবটের সার্কিট তৈরি করা যায় এবং কিভাবে তা কাজ করবে জেনে নেওয়া যাক।


সার্কিটঃ 

 রোবটের উপরিউক্ত ন্যাভিগেশন প্রিন্সিপ্যালের উপর ভিত্তি করে কালো লাইন ট্র্যাক ফলো করার জন্য যতদূর সম্ভব সহজ একটি সার্কিট তৈরি করা হয়েছে ।




                                        ডায়াগ্রাম-২: লাইন ফলোয়ার রোবট সার্কিট


2N2222A একটি NPN বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টার; এখানে ব্যবহার করা হয়েছে কারেন্ট গেইন অ্যামপ্লিফায়ার হিসেবে কাজ করানো জন্য । এর মানে হচ্ছে 2N2222A কে লিনিয়ার রিজিওনে অপারেট করানো হবে। এই ট্রানজিস্টারকে লিনিয়ার রিজিওনে অপারেট করার সুবিধা হচ্ছে ডি.সি মোটরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া ট্রানজিস্টারের কালেক্টর কারেন্ট এর ব্যাজ কারেন্ট অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে । অর্থাৎ, ট্রানজিস্টারের ব্যাজের কারেন্টের উপর নির্ভর করছে ট্রানজিস্টারের কালেক্টর এবং মোটরের মধ্য দিয়ে কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হবে । ট্রানজিস্টারের ব্যাজ কারেন্ট যদি কম হয় তাহলে কালেক্টরের কারেন্টও সেই অনুযায়ী কম হবে, পক্ষান্তরে মোটরের মধ্য দিয়েও কম কারেন্ট ফ্লো হবে । ফলে মোটরের স্পীড কম হবে। আবার ট্রানজিস্টারের ব্যাজ কারেন্ট যদি বেশি হয় তাহলে কালেক্টরের কারেন্টও সেই অনুযায়ী বেশি হবে এবং মোটরের মধ্য দিয়েও বেশি কারেন্ট ফ্লো হবে। যার ফলে মোটরের স্পীডও বেশি হবে। ট্রানজিস্টারের এই ব্যাজ কারেন্ট নিয়ন্ত্রিত হবে এর সাথে যুক্ত LDR (Light Dependent Resistor) এবং সিরিজে কানেক্টেড ১০ কিলো-ওহম পটেনশিয়োমিটার দ্বারা । সুতরাং ডি.সি মোটরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট LDR এর উপর পতিত আলোর তীব্রটার সাথে পরিবর্তিত হবে ।

LDR এবং ট্রানজিস্টারের এই সাধারন নীতি ব্যবহার করে আমারা উক্ত সার্কিটের সাহায্যে কালো লাইন ট্র্যাক করা লাইন ফলোইয়ার রোবট তৈরি করতে পারি। সেক্ষেত্রে LDR এবং সাদা LED এমনভাবে বসাতে হবে যাতে করে যখন LDR ঠিক কালো লাইনের উপর থাকবে তখন LED থেকে নির্গত আলো এর উপর খুব সামান্য পরিমাণে পড়ে (পতিত হয়)। এতে করে মোটরটি খুব ধীর গতিতে চলবে, কারন ট্রানজিস্টারের কালেক্টর কারেন্ট কম থাকবে। আবার যখন কালো লাইনের বাইরের দিকে থাকবে তখন থেকে এর উপর বেশি আলো পতিত হবে এবং মোটর দ্রুত চলবে (কালেক্টর কারেন্ট বেশি ) ।
সার্কিটে ট্রিমার পটেনশিয়মিটার ব্যবহার করা হয়েছে ডি.সি মোটরের স্পীড অ্যাডজাস্ট করার জন্য। ডি.সি মোটরের সাথে প্যারালালে ডায়োড ব্যবহারের কারন হচ্ছে যখন ট্রানজিস্টার অফ থাকবে তখন ডি.সি মোটরের ইন্ডাক্টর দ্বারা সৃষ্ট EMF (electromotive force) থেকে ট্রানজিস্টারকে রক্ষা করা ।

         
                                            ডায়াগ্রাম-৩: সেন্সর পজিশনিং ডায়াগ্রাম



উপরোক্ত ডায়াগ্রামে রোবটের সেন্সর সেকশনের পজিশনিং ডায়াগ্রাম দেখানো হয়েছে। LDR এবং LED বোর্ডে এমনভাবে বসাতে যাতে করে থেকে নিঃসৃত আলো ফ্লোরে প্রতিফলিত হয়ে এর উপর পড়ে।সেজন্য LDR এবং LED-এর মধ্যবর্তী দূরত্ব যেন কম হয় (৮ মিলিমিটার হলে ভালো) । আবার খেয়াল রাখতে হবে LED থেকে নিঃসৃত আলো যেন সরাসরি LDR-এর উপর না পড়ে, সেজন্য LDR-কে আলদাভাবে টেপ দিয়ে প্যাচিয়ে দিলে ভালো হয়। ফলে LED থেকে নিঃসৃত আলো সরাসরি LDR-এর উপর পড়বে না ।


সার্কিটটি কার্যপ্রণালীঃ   এই রোবটের সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে LDR (Light dependent resistor). প্রথমে LDR-এর বেসিক ব্যাপারটা বলে জেনে নেয়া ভালো (যারা জানে না তাদের জন্য) ।  LRD হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের রেজিস্টার যার রেজিস্ট্যান্স আলোর তীব্রতার উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ, LDR-এর উপর আলো পড়লে এর রেজিস্ট্যান্স কমতে থাকে, আলোর তীব্রতা যত বেশি হবে LDR-এর রেজিস্ট্যান্স তত কম হবে। আর সম্পূর্ণ অন্ধকারে LDR-এর রেজিস্ট্যান্স সব চাইতে বেশি থাকে (100%)। মানে, LDR-এর রেজিস্ট্যান্স হার আলোর তীব্রতার সাথে ব্যাস্তানুপাতিক।  এই লাইন ফলোয়ার রোবটে কন্ট্রোলের জন্য যে ম্যাথড ব্যবহার করা হয়েছে তাকে বলা হয় 'differential drive' স্টেয়ারিং ম্যাথড, যে পদ্ধতিতে ২ টি আলদা মোটর রোবটের চেসিসের বাম এবং ডান পাশে ফিক্সড করে লাগিয়ে দেয়া হয়, আর মোটরের রোটেশনাল স্পীড কন্ট্রোল করে রোবটের মুভমেন্ট কন্ট্রোল করা হয়। যার মানে হচ্ছে, বাম পাশের মোটরের স্পীড ডান পাশের মোটরের স্পীডের তুলনায় কমিয়ে দিয়ে রোবটকে বামে turn করানো হয় । আবার রোবটকে ডানে turn করানোর জন্য ডান পাশের মোটরের স্পীড বাম পাশের মোটরের স্পীডের তুলনায় কমিয়ে দেয়া হয় । আর যদি দুটি মোটরের স্পীড সমান থাকে তাহলে রোবট সামনে যায়। নিচের চিত্র দেখে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে আশা করি ।                              ডায়াগ্রাম-৪: লাইন ফলোয়ার রোবটের ডিফারেন্সিয়াল ড্রাইভ স্টেয়ারিং



এখন ধরা যাক, সার্কিটটি তৈরির পর কালো লাইন এর উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে (ফলো করার জন্য )। পাওয়ার সুইচ অন করে দেয়ার সাথে সাথে রোবটটি চলতে শুরু করল ।   ধরি, কালো লাইন ট্র্যাকটি সেন্সরের S1 ও S2 এর মাঝামাঝি আছে ফলে এটি কোন কালো লাইন সেন্স করছে না। তাই সোজা চলবে । কারন এসময় দুটি মোটরের স্পীড সমান থাকবে।  । উল্লেখ্য, রোবটে পাওয়ার দেয়ার শুরু থেকে LED অন থাকবে এবং সাদা মেঝেতে প্রতিফলিত হয়ে LDR-এর উপর পড়বে (কারন, সেন্সর দুটির একটিও এখন পর্যন্ত কালো লাইনের উপর আসে নি )। ফলে LDR-এর রেজিস্ট্যান্স কম থাকবে এবং কারেন্ট ফ্লো হয়ে ট্রানজিস্টারের ব্যাজে যাবে, যার কারনে ট্রানজিস্টারের কালেক্টর থেকে ইমিটারে কারেন্ট পাস করবে এবং কালেক্টরের সাথে মোটর সিরিজে সংযুক্ত থাকায় মোটরের মধ্য দিয়েও সেই পরিমাণ কারেন্ট ফ্লো হবে যে পরিমাণ কারেন্ট ট্রানজিস্টারের কালেক্টরের মধ্য দিয়ে প্রাবাহিত হবে। যদি সেন্সর দুটি সাদা মেঝের (ideal white floor) উপর থাকে তাহলে দুটি LDR-এর রেজিস্ট্যান্স সমান কম থাকবে এবং ট্রানজিস্টারের ব্যাজেও তদানুজায়ি কারেন্ট ফ্লো হবে । ফলে মোটর দুটি সমান স্পীডে ঘুরবে । এভাবে সার্কিটটি রোবটের সোজা সামনে চলা নিয়ন্ত্রন করবে । ( বি.দ্র. অবশ্যই এইক্ষেত্রে কালেক্টর থেকে ইমিটারে কারেন্ট পাস করার মত যথেষ্ট কারেন্ট ব্যাজে দিতে হবে, যাতে সুইচ হতে পারে, এজন্য সেন্সর দুটি যখন সাদা ফ্লোরের উপর থাকবে তখন যেন মোটর considerable একটি স্পীডে ঘোরে সেজন্য পটেনশিয়মিটার ঘুরিয়ে অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে। কারন, পটেনশিওমিটারের রেজিস্ট্যান্স যদি বেশি থাকে তাহলে আলো প্রতিফলিত হয়ে LRD এর রেজিস্ট্যান্স কমে গেলেও পটেনশিওমিটারের রেজিস্ট্যান্স বেশি থাকার কারনে ট্রানজিস্টারের ব্যাজে যথেষ্ট পরিমাণ কারেন্ট যেতে পারবে না। ফলে মোটরেও ঘুরবে না । )     এখন মনে করি, চলতে চলতে বাম পাশের মোটরের সাথে যুক্ত সেন্সরটি (S1) কালো লাইনের উপর গেল (S2 সাদা ফ্লোরের উপর )। LED থেকে নিঃসৃত আলো প্রথমে কালো ট্র্যাকের উপর পড়বে, কিন্তু প্রতিফলিত হবে খুব পরিমাণে । কারন কালো জায়গায় আলোর প্রতিফলন খুব কম হয় (শোষিত হয় ) । আলো কম প্রতিফলিত হবার কারনে LDR-এর উপরও আলোর তীব্রতা কমে যাবে, ফলে এর রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাবে; এতে করে LDR ও পটেনশিওমিটার হয়ে ট্রানজিস্টারের ব্যাজে পর্যাপ্ত পরিমাণ কারেন্ট ফ্লো বাধাপ্রাপ্ত হবে । যার কারনে কালেক্টর থেকে ইমিটারে  কারেন্ট পাস হবে না  (খুব অল্প পরিমাণে হতে পারে; সেটা LDR-এর রেজিস্ট্যান্সের উপর নির্ভরশীল ) এবং সেন্সরের সাথে সংশ্লিষ্ট মোটর (left motor) বন্ধ হয়ে যাবে । কিন্তু ডান পাশের সেন্সর ( S2 ) যেহেতু সাদা ফ্লোরের উপর আছে, সেহেতু S2 'LDR' এর উপর আলোর তীব্রতা বেশি থাকবে এবং ডান পাশের LDR-এর সাথে সংশ্লিষ্ট মোটর ঘুরতে থাকবে। কারন, এক্ষেত্রে ডান পাশের ট্রানজিস্টারটি অন আছে । ফলে রোবটটি অটোম্যাটিক বামে ঘুরে যাবে (Right Turn)।   এভাবে সার্কিটটি রোবটের বামে টার্ন করা নিয়ন্ত্রন করবে ।উল্লেক্ষ্য, এক্ষেত্রে বাম পাশের মোটর অল্প পরিমাণে ঘুরতে পারে, কারন আগেই বলেছিলাম মোটরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের পরিমাণ ট্রানজিস্টারের কালেক্টর কারেন্টের সমান আর এই কালেক্টর কারেন্টের পরিমাণ নির্ভর করে ট্রানজিস্টারের ব্যাজ কারেন্টের উপর ।  ব্যাজ কারেন্ট যদি সামান্য বেশি হয় (সুইচ করার জন্য যথেষ্ট) তাহলে মোটর এবং কালেক্টরের মধ্য দিয়েও সেই অনুযায়ী সামান্য পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হবে ।        বামে টার্ন করার লজিকের মতই রোবটের ডানে টার্ন করার লজিক একই। এক্ষেত্রে যখন S2 সেন্সর কালো লাইনের উপর আসবে তখন এর রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাবে এবং এর সংশ্লিষ্ট মোটর (Right motor) অফ হয়ে যাবে বা স্পীড কমে যাবে (LDR এর রেজিস্ট্যান্সের উপর নির্ভরশীল); এবং S1 সেন্সরের সাথে  সংশ্লিষ্ট মোটরের (Left motor) স্পীড বেশি থাকায় রোবটটি ডানে  টার্ন করবে ।
এই রোবটটি সফলভাবে তৈরির মূল চাবিকাঠি মোটর নির্বাচনের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।


মোটর নির্বাচনঃ

এই প্রোজেক্টের জন্য মোটর নির্বাচনে যেসব দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হচ্ছে -

 ১. মোটর পাওয়ার র‍্যাটিংঃ  ৫ ভোল্ট বা ৬ ভোল্ট ডি.সি গিয়ার মোটর সিলেক্ট করা সবচাইতে ভালো, এবং যার কারেন্ট র‍্যাটিং কম। অর্থাৎ, যা লো পাওয়ার কনজিউম করে।

 ২. মোটর RPM: কম RPM (Rotation per minute)-এর মোটর ব্যবহারের চেষ্টা করা উচিত। কারন, এখানে ব্যবহৃত সেন্সর 'LDR' অন্যান্য লাইট সেন্সেটিভ কম্পোনেন্ট/ সেন্সরগুলো থেকে স্লো রেসপন্সের (রেসপন্স করতে দেরী লাগে) তাই বেশি RPM-এর মোটর ব্যবহার করলে রোবট কালো লাইন ট্র্যাক করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবে না। তাই লো RPM-এর মোটর ব্যবহার করা ভালো যাতে করে রোবটটি ঠিক মত ব্ল্যাক লাইন ট্র্যাক অনুসরণ করতে পারে।      

 ৩. গিয়ার মোটরঃ  এই প্রোজেক্টের ক্ষেত্রে ডি.সি গিয়ার মোটর সিলেক্ট করা বেস্ট। কারন গিয়ার মোটরের কিছু উপকারিতা আছে। যেমন এটি পাওয়ার সাপ্লাই অফ করে দেওয়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়, সাধারন ডি.সি মোটরের মত ধীরে ধীরে বন্ধ হয় না । গিয়ার সিস্টেমের কারনে এই জাতীয় মোটর খুব দ্রুত রোটেশনাল স্পীড চেঞ্জ করতে পারে। এই জাতীয় characteristic-এর কারনে এই প্রোজেক্টের ক্ষেত্রে গিয়ার মোটর সিলেক্ট করা সবচাইতে ভালো ।

সর্বোপরি, ভালো মানের একটি লাইন ফলোয়ার রোবট তৈরি করতে ৫ বা ৬ ভোল্টের, কম কারেন্ট র‍্যাটিংয়ের এবং কম RPM-এর গিয়ার মোটর ব্যবহার করা উচিত।


                                                ডায়াগ্রাম-৫: বিভিন্ন ধরনের ডি.সি গিয়ার মোটর 

প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টঃ   ১. ৫/৬ ভোল্টের ডি.সি গিয়ার মোটর - ২ টি
২. LDR - ২ টি
৩. Potentiometer 10K -২ টি
৪. Transistor (2N2222A ) - ২ টি
৫. ডায়োড (1N4148) - ২ টি  
৬. Resistor 220 ohm - ২ টি  
৭. Battery (9v) (5v আউটপুট পেতে 'LM7805' regulator IC ব্যবহার করা যেতে পারে)  


ভিডিও লিঙ্কঃ http://youtu.be/LZ5DX3kX1kg


আমি চেষ্টা করেছি এই রোবট এবং এর সার্কিট সম্পর্কে যতদূর সম্ভব বিস্তারিত এবং সহজভাবে বুঝিয়ে লেখার। তারপরও যদি কারো বুঝতে বা লেখার কোথাও কোন ভুলত্রুটি থাকে তাহলে আমাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করছি ।

"Feel free to ask any kind of questions related to this project.... :) "  কমেন্ট করুন। .
আমার ফেইসবুক  একাউন্ট আসুন           like my facebook page click here
আমার ফেইসবুক id irfan

GOOGLE RANK NO 1 বাংলা ওয়েব সাইট

THIS WEBSITE HOST BY GOOGLE. THIS IS ONE OF THE BEST BLOG SITE EVER SEEN . বাংলা  ওয়েব সাইট

সাপের কামড়ের পর যা করতে হবে এবং যা করবেন না

snake.jpg

অনেক দেশেই সাপের অত্যাচার দারুণ সমস্যা তৈরি করে। ভারতে প্রতি বছর ১০ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। আমাদের দেশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা বিষাক্ত সাপ। এদের কামড় খেলে বাঁচার আছে নানা পথ।

এ সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের বিজে মেডিক্যাল কলেজের সর্প বিশেষজ্ঞ ড. ভিজে মুরালিধর। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ২৫০টি প্রজাতির সাপ দেখা যায়। এদের মধ্যে প্রায় ৫০টি প্রজাতি বিষাক্ত। বিশেষ করে কোবরা, ভাইপার, ক্রেইট এবং রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে।

অবশ্য বহু আগে এসব সাপের দৌরাত্ম বেশি ছিল। এখন অনেক কমে এসেছে এদের সংখ্যা। এ ছাড়া একই প্রজাতির ভিন্ন সাপ রয়েছে যাদের বিষ তেমন মৃত্যু ঘটানোর জন্যে যথেষ্ট নয়। যেমন হাম্পনোসড পিট ভাইপার। এদের কামড়ে রক্তক্ষরণসহ কিডনি নিষ্ক্রিয় হতে পারে। আবার উজ্জ্বল বর্ণের ক্রেইট কামড়ালে লক্ষণ অন্য সাপের কামড়ের সঙ্গে মেলানো যাবে না।

এর কামড়ে রক্ত ঝরে না বা ব্যথাও অনুভূত হয় না। এমনকি অনেক সময় এর কামড়ের চিহ্নও বোঝা যায় না। তবে যে সাপই কামড় দিক না কেন, প্রথমেই তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া উচিত। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে রোগিকে দ্রুত বিপদমুক্ত করা যায়।

যা করা উচিত : প্রথমেই সাপে কামড়ানো রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে তার কোনো বিপদ হবে না। উত্তেজনায় রোগীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগীকে এমনভাবে শোয়াতে হবে যেন কামড়ের স্থান হৃদযন্ত্র বরাবর কিছুটা নিচের দিকে থাকে। দেহের আঁটোসাঁটো পোশাক, অলংকার ইত্যাদি খুলে ফেলুন। কামড়ের ওপর দিকে একটি ফিতা বা রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলুন।

বিষক্রিয়ায় রোগীর হৃদস্পন্দন অনেক সময় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। সে ক্ষেত্রে সিপিআর দিন। অর্থাৎ, কেউ পানিতে ডুবে গেলে বা অন্য কোনো শকে আক্রান্তকে শুইয়ে বুকে দুই হাত দিয়ে চাপ দিতে থাকুন। এভাবে হার হৃদযন্ত্র সচল করে ফেলুন। হাসপাতাল দূরের পথ হলে ফোন দিয়ে বিষ নিস্ক্রিয়করণের কোনো ওষুধের নাম শুনে তা প্রয়োগের চেষ্টা করুন।

যা করবেন না : কামড়ের স্থান সাবান দিয়ে ধোবেন না। আক্রান্ত স্থানের আশপাশে কেটে রক্ত বের করবেন না। ইলেকট্রিক শক দেবেন না। ঠাণ্ডা পানি বা বরফ কামড়ের স্থানে ধরবেন না। বড় বিষয়টি হলো, সে সাপ কামড়েছে তাকে ধরে মারার পেছনে সময় নষ্ট করবেন না। আক্রান্তকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। রোগীকে পানি বা কোনো ধরনের পানীয় পান করাবেন না।

সাপের বিষক্রিয়া দূর করতে এভিএস অ্যান্টডোট ব্যবহার করা হয়। এভিএস এর আবার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এতে মধ্যম থেকে মারাত্মক অ্যালার্জির সৃষ্টি হয় যাকে অ্যানাফাইল্যাক্সিস বলে। কাজেই দেহে এভিএস প্রয়োগ করার আগে আবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করার অ্যান্টিডোটসহ ব্যবহার করতে হবে।

আবার কেউ যদি কখনো বিষাক্ত বা সামান্য বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েও বেঁচে যান, তবে দ্বিতীয়বারের কামড়ে তাকে বাঁচাতে শক্তিশালী এভিএস ব্যবহার করতে হবে। কারণ প্রথম কামড়ের পর তার দেহে অ্যান্টিজেন থেকে যায়। দ্বিতীয় কামড়ের কারণে সেই অ্যান্টিজেকের সঙ্গে বিষ মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।